২০২১ সালে মোট মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা আসামীর চেয়ে এই সংখ্যা বেশি। গত বছর দেশটিতে মোট ২৭ জনের শিরোশ্ছেদ করা হয়েছিল।
সৌদি আরবের রাষ্ট্র-নিয়ন্ত্রিত সংবাদ সংস্থা এসপিএ জানিয়েছে, মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত এসব আসামীর মধ্যে ইয়েমেনের সাতজন ও সিরিয়ার এক নাগরিক ছিল। এদের মধ্যে হত্যাকাণ্ডের আসামীসহ সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর বহু সদস্য ছিল।
এসপিএ’র খবরে বলা হয়েছে, হত্যা মামলার আসামীদের মধ্যে ‘নিরপরাধ নারী, পুরুষ ও শিশুদের’ ঘাতকরা ছিল। এছাড়া উগ্র সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আল-কায়েদা ও দায়েশের সদস্য হওয়ার কারণেও অনেকের শিরোশ্ছেদ করা হয়।
ইয়েমেনের জনপ্রিয় আনসারুল্লাহ আন্দোলনের সদস্য হওয়ার অপরাধেও কয়েকজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। ২০১৫ সালের মার্চ মাস থেকে দারিদ্রপীড়িত ইয়েমেনে সৌদি আগ্রাসন প্রতিহত করে আসছে আনসারুল্লাহ আন্দোলন। সৌদি আগ্রাসনে এ পর্যন্ত ইয়েমেনের হাজার হাজার নিরপরাধ নারী, পুরুষ ও শিশু নিহত হয়েছে এবং শরণার্থীতে পরিণত হয়েছে লাখ লাখ মানুষ।
সৌদি আরবে এমন সময় একদিনে ৮১ ব্যক্তির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হলো যখন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা- হিউম্যান রাইটস ওয়াচ সম্প্রতি এক প্রতিবেদনে বলেছে, সৌদি আরবে সরকার বিরোধী, সরকারের সমালোচক ও মানবাধিকার কর্মীদের কঠোর হাতে দমন করা হয়। iqna