বার্তা সংস্থা ইকনা'র রিপোর্ট: পবিত্র কূরআনের বানী এবং ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গিতে পৃথিবীর উপর ক্ষমতাবান হবে কেবল সতকর্মশীল ও আল্লাহর সালেহ ও মু’মিনি বান্দারা।
এর আগেও ফকীহদের শাসনের প্রতি ইঙ্গিত থাকলেও ইমাম খোমিনি (রহ.) এই শাসন ব্যবস্থাকে বাস্তবে রূপ দান করেন। প্রকৃত হুকুমতের মালিক হচ্ছেন মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন আর তার অনুমতিতে নবীগণ এবং ইমামগণ হুকুমত করে থাকেন।
ইমাম খোমিনি (রহ.) বলেন: আমাদেরকে এমনভাবে বোঝানো হয়েছিল যে, ধর্ম আর রাষ্ট্র দুটো আলাদা জিনিস কিন্তু তা তো নয়ই বরং আমাদের ধর্ম আর রাষ্ট্র তথা রাজনীতি হচ্ছে অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত।
আমরা মালিক আশতারকে লেখা ইমাম আলীর চিঠিটি পড়লেই বুঝতে পারি যে ইসলামের সাথে রাষ্ট্রের সম্পর্ক কতটা গভীর।
আল্লাহ্ তায়ালা এরশাদ করেন : لَقَدْ أَرْسَلْنَا رُسُلَنَا بِالْبَيِّنَاتِ وَأَنزَلْنَا مَعَهُمُ الْكِتَابَ وَالْمِيزَانَ لِيَقُومَ النَّاسُ بِالْقِسْطِ ۖ وَأَنزَلْنَا الْحَدِيدَ فِيهِ بَأْسٌ شَدِيدٌ
অবশ্যই আমরা আমাদের রাসূলদেরকে সুস্পষ্ট নিদর্শনাদিসহ পাঠিয়েছি এবং তাদের সাথে কিতাব ও মানদণ্ড পাঠিয়েছি যাতে লোকেরা ন্যায়নীতির ওপর প্রতিষ্ঠিত থাকে। আর আমরা লৌহ অবতীর্ণ করেছি যাতে রয়েছে প্রচণ্ড শক্তি...। (হাদীদ- ২৫)
আল্লাহ্ তায়ালা অন্যত্র এরশাদ করেন : . وَلِلَّـهِ الْعِزَّةُ وَلِرَسُولِهِ وَلِلْمُؤْمِنِينَ
আর শক্তি তো আল্লাহর এবং তাঁর রাসূলের ও মুমিনদের...।” (সূরা আল মুনাফিকুন- ৮)
আল্লাহ্ তায়ালা আরো এরশাদ করেন : إِذْ جَعَلَ فِيكُمْ أَنبِيَاءَ وَجَعَلَكُم مُّلُوكًا
(মুসা বনি ইসরাইলকে বলল :) স্মরণ করো,তিনি তোমাদের মধ্যে নবী বানিয়েছেন এবং তোমাদেরকে রাজ্যাধিপতি বানিয়েছেন...। (মায়েদাহ্- ২০)
অন্য এক আয়াতে এরশাদ হয়েছে : وَلَقَدْ كَتَبْنَا فِي الزَّبُورِ مِن بَعْدِ الذِّكْرِ أَنَّ الْأَرْضَ يَرِثُهَا عِبَادِيَ الصَّالِحُونَ
আর আমরা যিক্রের (তাওরাতের) পরে যাবূরে লিখে দিয়েছিলাম যে,আমার উপযুক্ত বান্দারা এ ধরণির উত্তরাধিকারী হবে।(আম্বিয়া - ১০৫)