বার্তা সংস্থা ইকনা: ওয়াশিংটন পোস্ট লিখেছে, জামাল খাশোগির সন্তানরা যাতে হত্যাকাণ্ড নিয়ে প্রকাশ্যে রাজ পরিবারের বিরুদ্ধে ভবিষ্যতেও আর কিছু না বলেন, অর্থের মাধ্যমে তা নিশ্চিত করতে চায় সৌদি সরকার। সৌদি আরবের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কর্মকর্তার বরাত দিয়ে পত্রিকাটি জানিয়েছে, খাশোগির প্রত্যেক সন্তানকে জেদ্দা শহরে যে বাড়ি দেওয়া হয়েছে সেটার মূল্য ৪০ লাখ ডলার। প্রতি মাসে তাদের প্রত্যেককে অন্তত ১০ হাজার ডলার করে দেওয়া হচ্ছে। এর বাইরেও বিশাল অংকের এককালীন অর্থও দেওয়া হতে পারে বলে সৌদি ওই কর্মকর্তা ধারণা করছেন।
জামাল খাশোগি গত ২ অক্টোবর তুরস্কের ইস্তাম্বুলে সৌদি কনস্যুলেট ভবনে ঢোকার পর থেকে নিখোঁজ ছিলেন। প্রথমে অস্বীকার করলেও পরে আন্তর্জাতিক চাপের মুখে সৌদি আরব স্বীকার করে, খাশোগিকে কনস্যুলেট ভবনের ভেতরে হত্যা করা হয়েছে।
হত্যাকাণ্ডের সময়কার একটি রেকর্ডে দেখা যায়, খাশোগিকে হত্যার সময় গভীর ঘুমের ইনজেকশন দেওয়া হয়। পরে ব্যাগ চেপে ধরা হয়। খাসোগি চিৎকার করে সে সময় বলেছিলেন, ‘আমার দম বন্ধ হয়ে আসছে। আমার শ্বাসকষ্ট আছে। এটা করবেন না।’ এর কিছুক্ষণ পরেই তিনি মারা যান। ভোঁ ভোঁ শব্দ শোনা যায় ওই রেকর্ডে। বলা হচ্ছে পরে ইলেকট্রিক কোনও যন্ত্র দিয়ে খাশোগিকে টুকরো টুকরো করা হয়। তাকে হত্যার জন্য ১৫ সদস্যের একটি ঘাতক দল সেদিন সৌদি আরব থেকে তুরস্কের ইস্তাম্বুলে এসেছিল। তারাই তাকে হত্যা করে। হত্যার নির্দেশদাতা হিসেবে যুবরাজ মুহাম্মাদ বিন সালমানকে সন্দেহ করা হচ্ছে। কারণ খাশোগি যুবরাজের নানা কর্মকাণ্ডের সমালোচনা করে ওয়াশিংটন পোস্টে নিবন্ধ লিখেছিলেন।
এখনো পর্যন্ত খাশোগির মৃতদেহের কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। সৌদি আরবও এ বিষয়ে কোনো তথ্য দেয়নি। পার্সটুডে