দুই হাজার ৪০০ বর্গমিটার আয়তনের মসজিদটি যেন সমুদ্রে ভাসমান একটি জাহাজ। এর নীলাভ বর্ণের গম্বুজ যেন সাগরের ঢেউয়ে দোল খেতে থাকে। মসজিদের ওপরে বড় গম্বুজের পাশাপাশি রয়েছে ৫২টি ছোট গম্বুজ। এর বাইরে রয়েছে ২৩টি ছোট গম্বুজ।
দূর থেকে দর্শনার্থীদের চোখে পড়ে এর সুউচ্চ মিনার। দুই হাজার ৩০০ জনের ধারণক্ষমতাসম্পন্ন এই মসজিদে নারীদের জন্য রয়েছে বিশেষ নামাজের স্থান। মসজিদের মধ্যভাগে কাঠের ঝুলন্ত স্থানে একসঙ্গে ৫০০ নারীর নামাজের ব্যবস্থা রয়েছে। এর নির্মাণে রয়েছে আধুনিক স্থাপত্যশৈলী ও ইসলামী শিল্পকলার মিশ্রণ।
এর দেয়ালে রয়েছে পবিত্র কোরআন ও হাদিসের শৈল্পিক ছাপ। এর ভেতরে রয়েছে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির অনেক স্কিন, যার মাধ্যমে জুমার খুতবার তাত্ক্ষণিক অনুবাদ শোনা যায়। বিদেশিদের মধ্যে পশ্চিম এশিয়া, বিশেষত ইন্দোনেশিয়ার মুসলিমরা এই মসজিদে বেশি যান। বছরের বেশির ভাগ সময় এর স্তম্ভগুলো পানির নিচে থাকে। অসংখ্য হজ ও ওমরাহ যাত্রী মক্কায় যাওয়ার পথে বা ফেরার পর এটি পরিদর্শনে যান।
মসজিদ প্রাঙ্গণে বসে সমুদ্রতীরের মনোরম দৃশ্য উপভোগ করেন সবাই।
সূত্র : আল-আরাবিয়্যাহ